পশুরহাটে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণকালে খোরশেদ আলম সুজন স্বাস্থ্যবিধি মানতে ব্যর্থ হলে চরম মূল্য দিতে হবে

পশুরহাটে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণকালে খোরশেদ আলম সুজন স্বাস্থ্যবিধি মানতে ব্যর্থ হলে চরম মূল্য দিতে হবে

218861901 838271600148728 3384084476355168348 N

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : স্বাস্থ্যবিধি মানতে ব্যর্থ হলে চরম মূল্য দিতে হবে বলে নগরবাসীকে সতর্ক করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ রবিবার (১৮ জুলাই ২০২১ইং) বিকাল ৩টায় নগরীর সাগরিকা পশুরহাটসহ আশেপাশের এলাকায় ক্রেতা, বিক্রেতা ও জনসাধারণের মাঝে মাস্ক, সাবান এবং স্যানিটাইজার বিতরণকালে একথা বলেন সুজন।
এসময় তিনি বলেন বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার রেকর্ড সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায় সরকার জনগনকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নানামূখী উদ্যোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছে। সরকারের এতোসব উদ্যোগের পরেও কতিপয় অসচেতন নগরবাসী স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে চরম উদাসীন। তারা মাস্ক তো পরিধান করছেনই না। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া তো দূরের কথা। ফলত বাধ্য হয়েই সরকার লকডাউনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে জীবন ও জীবিকাকে সমুন্নত রাখার প্রয়াসে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনের শিথিলতাও করছে। এ বিষয়টাকে কোন প্রকার গুরুত্ব না দিয়ে দেখা যাচ্ছে লকডাউনকালীন সময়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হলেও অনেকে তা মানছে না। আর স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতার কারণে হু হু করে করোনা রোগী বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে হাসপাতালগুলিতে একদিকে রোগীর প্রচন্ড চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে করোনা রোগীদের সেবা করতে গিয়ে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীর অকাল মৃত্যু হচ্ছে।
সরকার প্রথম থেকেই দেশে করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণে নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিসহ দেশের সাধারণ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ টিকা না পেলেও বাংলাদেশ সরকার ত্বড়িৎ গতিতে টিকা এনে জনসাধারণকে টিকা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং সে কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে যে সরকারের নানারাকম উদ্যোগগুলো সফলতার ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করছি আমরা নিজেরাই। দিনের পর দিন মাস্ক পরিধান না করে, সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার না করে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আমরাই করোনার বিস্তারে সহযোগিতা করেছি যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি পশুরহাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সবিনয় অনুরোধ জানান।
হাটে শিশু এবং বৃদ্ধদের প্রবেশে অনুৎসাহিত করার জন্য ইজারাদারদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়া ক্রেতাদেরও পশুর হাটে বেশিক্ষণ ঘোরাঘুরি না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানীর পশু ক্রয় করে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি। তিনি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনগনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সরকারকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে যে কোন করোনা হাসপাতালে সাতদিনের স্বেচ্ছাশ্রমের আইন কার্যকর করার আহবান জানান। তিনি পশুরহাটে উপস্থিত ক্রেতা বিক্রেতা ও জনসাধারণের মাঝে প্রায় ১ হাজার মাস্ক, সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মো. শাহজাহান, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য আরাফাত রুবেল, ইয়াসিন আরাফাত আরমান, নাঈম উদ্দীন তৌসিফ, সাজ্জাদ হোসেন সুমন, ইয়াসিন রিয়াদ, তারেকুল হক তারেক প্রমূখ।

Please Share This Post in Your Social Media

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Rayhan